ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পর্নগ্রাফি ব্যবসার মূলহোতা ফুয়াদ বিন সুলতানকে (৩৩) আটক করেছে র‌্যাব। - SaraBela Net Media

Breaking

4G-1010-X-90
English বাংলা

Post Top Ad

Post Top Ad

4G-970-X-90

Wednesday, August 2, 2017

ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পর্নগ্রাফি ব্যবসার মূলহোতা ফুয়াদ বিন সুলতানকে (৩৩) আটক করেছে র‌্যাব।

ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পর্নগ্রাফি ব্যবসার মূলহোতা ফুয়াদ বিন সুলতানকে (৩৩) আটক করেছে র‌্যাব। 

রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পর্নগ্রাফি ব্যবসার মূলহোতা ফুয়াদ বিন সুলতানকে (৩৩) আটক করেছে র‌্যাব। বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার বিন কাশেম।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা মডেল টাউনের ৯ নম্বর সেক্টরের নিজ বাসা থেকে সুলতানকে আটক করে র‌্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে পাইরেটেড সিডি, পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহৃত একটি ল্যপটপ ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ বেশকিছু ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

ফুয়াদের বাবা সুলতান আহমেদ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি। ইংরেজিতে স্নাতক শেষ করে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। তারপর উত্তরাতে নিজের বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটে পর্নো সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন ফুয়াদ। তিনি নিজেকে ওই জগতের একজন ‘শিল্পী’ হিসেবে দাবি করেন বলে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ২০১১ সালে কমিশনের বিনিময়ে বাসা ভাড়া করে দেয়ার ব্যবসা শুরু করে এবং বিভিন্ন ওয়েব সাইটে এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। ফুয়াদ বৈধ পন্থায় দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের গুলশান ও উত্তরায় বিভিন্ন বাসা ভাড়া দিয়ে কমিশন নিত। ২০১৪ সালের দিকে তিনি ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করেন। এ সময়ে তিনি বিভিন্ন পর্নোসাইট এ বিচরণ করেন এবং তার নেশাকে (মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা) পেশায় পরিণত করার চিন্তা ভাবনা করেন। দুটি বৈধ ব্যবসার অন্তরালে তিনি ২টি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে তিনি পর্নোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করেন। এই দুটি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে তিনি বিভিন্নভাবে সংগৃহিত মেয়েদের আপত্তিকর ছবি, মোবাইল নম্বর এবং দৈহিক মিলনের বিনিময়ে নির্ধারিত মূল্য উল্লেখ করে বিভিন্ন জনকে আকৃষ্ট করতেন।

ফ্ল্যাটে দেহ ব্যবসা পরিচালনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে ফুয়াদ বলেন, পুরো বাড়িটি তাদের নিজেদের। বাড়ির দুইটি ফ্ল্যাটে ব্যবসা করার কারণে প্রতিমাসে মাসে ৪৫ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। উক্ত ফ্ল্যাট দুটিতে টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য ভাড়া দিতেন। বিভিন্ন মেয়ে সরবরাহ করতেন। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া ছেলে-মেয়েদের দৃশ্য গোপন ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করেন। পরে ব্ল্যাক মেইলিং করে আরো শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন। ওই সব ভিডিও ফুটেজ তিনি তার পর্নো ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিতেন।

ওই ফ্ল্যাট হতে অশালীন অবস্থায় মেয়েদের পাশে বসিয়ে নিজে মুখোশ পরিহিতাবস্থায় ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করত যা অপ্রাপ্ত বয়স্কসহ অনেক লোক প্রত্যক্ষ করতেন।

র‌্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, সুলতান তার ফ্ল্যাটে পর্নো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্নোসাইটের কাছে বিক্রি করতো। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপনে ধারণ করা অশ্লিল ভিডিও কিনে নিয়ে নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতো।

আটটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের পর্নো ব্যবসা একমাত্র সুলতানই করতো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এভাবে সুলতান নিজেকে পর্নো সাম্রাজ্যের একজন শিল্পী বলে দাবি করত বলেও জানান সারোয়ার বিন কাশেম।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad