জাহেল যুগের মত কন্যাশিশু, বিধায় পেট্রলে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা !!
মধ্য যুগের সেই জাহেল ও বর্বতার যুগের মত আইয়ামে জাহেলিয়া! ওই সময় কন্যাশিশু জন্ম নিলে তাদের জীবন্ত কবর দেয়া হতো। এবার তার চেয়েও নৃশংসভাবে কন্যাশিশুকে খুন করল এ যুগের এক নরপশু বাবা। ৯ মাসের সন্তানকে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দগ্ধ, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করেন তার মা। পরে হাসপাতালে নিতে চাইলেও বাধা দেয় সেই নরপশু। পাঁচ দিন বিনা চিকিৎসায় থাকার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিশুটি মারা যায়।নৃশংস ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্ডা গ্রামে। এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহত শিশুর নানি সাজিয়া বেগম বাদী হয়ে পাষণ্ড বাবা জহিরুল ইসলামসহ ৩ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে মাদকাসক্ত বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্ডা গ্রামের মর সিকম আলীর ছেলে। দু’বছর আগে তার সঙ্গে কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার কেশেরা গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে কুলসুমের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের সংসারে জান্নাতুল নামে একটি কন্যাসন্তান জন্ম হয়। এতে জহিরুল তার স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কুলসুমকে সে জানিয়ে দেয়- তার কন্যাসন্তান পছন্দ নয়, তাই তাকে বাবার বাড়ি রেখে আসে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে বিচার সালিশ করে কুলসুম ফের স্বামীর বাড়ি ফিরে আসে।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জহিরুল বাড়িতে এসেই তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। একপর্যায়ে রাগে-ক্ষোভে নিজের ৯ মাসের কন্যাসন্তানকে ঘুমের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মা কুলসুম সন্তানকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে নিজেও আহত হন। পরে আহত শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে চাইলে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে পাষণ্ড বাবা। ৫ দিন বিনা চিকিৎসায় থাকার পর বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে জান্নাতের মৃত্যু হয়। সোনারগাঁ থানার এসআই শেখ মফিজুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। নিহত জান্নাতের নানি সাজিয়া বেগমের অভিযোগ, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে তার মেয়ে কুলসুমকে তারা বিয়ে দেন। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দেয়া হয় জহিরুলকে। পরে কয়েক দফায় আরও ৫০ হাজার টাকা নেয় জহিরুল। সম্প্রতি জহিরুল মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। সে বিভিন্ন সময় নেশা করে কুলসুমকে মারধর করত। নিহত শিশু জান্নাতুলের মা কুলসুমের অভিযোগ, পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর ঘরের ফ্যান চালু করে দেয় জহিরুল। যেন আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। তিনি সন্তান হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। সোনারগাঁও থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা জহিরুলকে গ্রেফতারে পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছে।


Hello, Welcome. It's a site of SS Connections 
No comments:
Post a Comment