রমরমা দেহব্যবসা এখন সিনেমা হলের ভিতর!! - SaraBela Net Media

Breaking

4G-1010-X-90
English বাংলা

Post Top Ad

Post Top Ad

4G-970-X-90

Wednesday, August 23, 2017

রমরমা দেহব্যবসা এখন সিনেমা হলের ভিতর!!

রমরমা দেহব্যবসা এখন সিনেমা হলের ভিতর!!

রমরমা দেহব্যবসা এখন সিনেমা হলের ভিতর!! সিনেমা হলের আলো-আঁধারি পরিবেশ। হলের এক পাশে কাঠের ছোট ছোট খোপ। সেখানেই যত কুকর্ম। শহরতলির কিছু কিছু সিনেমা হলে এ ধরনের আসন ‘বক্স’ নামে পরিচিত। যেখানে সিনেমা দেখার নামে অলিখিতভাবে চলে দেহব্যবসা। এমনই অভিযোগে তুলকুলাম কাণ্ড কাটোয়ার দাঁইহাটে। স্থানীয়দের বিক্ষোভের ভয়ে হল থেকে বেরিয়ে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন কয়েক জোড়া যুবক-যুবতী। তবে সামাজিক সম্মানের খাতিরে তাঁদের ছেড়ে দেন এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভে দাঁইহাটের ওই হলে শো বন্ধ হয়ে যায়। সিনেমা শুরু হয় সকাল ১১টা থেকে। অথচ তার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে থেকেই হলে চলে আসে বহু যুবক-যুবতী, স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। দাঁইহাটের পাইকপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ এনিয়ে হল মালিককে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। তাতে কাজ হয়নি। সকাল সাড়ে আটটা থেকে অনেকেই টিকিট কেটে হলে ঢুকে পড়ে। যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়। এই খবরে হলের সামনে লোকজন জুটতে থাকে। শো টাইম ১১টা হলেও তার কিছু আগেই শো শুরু হয়ে যায়। তখন স্থানীয়রা হলকর্মীদের চেপে ধরেন। এই নিয়ে দুপক্ষের বচসা বাধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে বক্স ভাড়া দিয়ে ওই হলে দেহ ব্যবসা চলে আসছে। এলাকার বাসিন্দাদের মারমুখী মেজাজ দেখে হল থেকে বেরিয়ে আসেন অভিযুক্তরা। তাঁরা পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। এলাকার লোকজন কয়েকজনকে ধরে ফেলে। চক্ষুলজ্জার ভয়ে যুবক-যুবতীদের তারা ছেড়ে দেয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, কাটোয়ার পাশাপাশি নবদ্বীপ, কালনা, সালার থেকে যুবক-যুবতী এবং নাবালিকারাও ওই হলে আসে। তবে হল মালিক সঞ্জয় দত্তের দাবি দেহব্যবসার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিনেমা হলে নিয়ম মেনে বক্স রয়েছে। কোনওরকম অসামাজিক কার্যকলাপ চলে না। কাটোয়া থানার ওসি সঞ্জীব ঘোষ জানান, এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে হলের উপর নজর রাখা হচ্ছে। বাংলা ছবির পরিবেশক বা প্রযোজকরা মাঝেমধ্যেই বলেন, অধিকাংশ ছবি বক্স অফিসে পানি পায় না। এখন যা পরিস্থিতি তাতে শহরতলির বেশ কিছু হলে সিনেমা তেমন চলে না। লোকসান এড়াতে হল মালিকদের একাংশ এই বক্স সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়েছেন।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সিনেমা হলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। প্রায় এক বছর নিজের যৌনতৃষ্ণা মিটিয়ে অবশেষে সম্পর্ক ভেঙে দেয় সে। আর তার জেরেই হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। শুক্রবার অপূর্ব চক্রবর্তী (৩২) নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অশোকনগর থানায় ধষর্ণের অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। এদিন রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
উত্তর ২৪ পরগনার দমদম নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রায় বছরখানেক আগে পরিচয় হয় ওই যুবকের। তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, অশোকনগরের কয়াডাঙায় ওই ছাত্রীর মামারবাড়ি। ওই এলাকাতেই থাকত অপূর্ব। বছর খানেক আগে মামাবাড়িতে গিয়ে অপূর্বর সঙ্গে দেখা হয় তার। সেখান থেকেই দু’জনের পরিচয়। ওই নাবালিকা তার পরিবারকে জানিয়েছে, অপূর্ব তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমে ওই ছাত্রী সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। পরে চাপে পরে রাজি হয় সে। তার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপূর্ব তার সঙ্গে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামাবাড়িতে ঘুড়তে গেলেই নানা অছিলায় তাকে ওই এলাকার একটি সিনেমা হলের ‘বক্সে’ নিয়ে ধর্ষণ করত। সম্প্রতি অপূর্ব ওই ছাত্রীকে ফোন করে জানায়, সে তার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চায় না। ওই ছাত্রী যেন আর তাকে বিরক্ত না করে। এর পরই ভেঙে পড়ে বছর পনেরোর ওই ছাত্রী। কেরোসিন তেল খায় সে এবং হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে অশোকনগর থানায় অপুর্বর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এদিন রাতেই পুলিশ অপূর্বকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার তাকে বারাসত আদালতে পেশ করা হবে।

এদিনের ঘটনা আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল অশোকনগর এলাকার সিনেমা হলগুলির ‘বক্স’ ব্যবস্থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দর্শক টানার জন্য হলের মধ্যে যুগলদের জন্য এই ধরনের বক্স বানিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে হলগুলি। এবং তার মধ্যেই আবাধে চলে অশালীন কাজকর্ম। স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা বেশিরভাগ সময় এই বক্সগুলিতে ভিড় জমায়। কয়েক বছর আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই বক্সগুলি বন্ধ করে দিয়েছিল। আপত্তিজনক অবস্থায় বক্স থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। তবে ফের পুলিশের নজর এড়িয়ে হলগুলিতে আবার গজিয়ে উঠেছে ‘বক্স’। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছন, হলে বক্স বন্ধ করার জন্য ফের অভিযান চালানো হবে। সিনেমা হলের বক্সে এমন অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু কোনও অভিযোগ না আসায় পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। সূত্রঃ অনলাইন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad