হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় বইমেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন পাহাড়ে
সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে প্রেমিক, তার দুই বন্ধু ও এক পাহারাদার। এ ঘটনায়
জড়িত বাহুবল উপজেলার তোফায়েল মিয়াকে (২০) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-৯।
শনিবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তোফায়েল মিয়া
(২০) বাহুবল উপজেলার বাঘেরখাল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। রোববার তাকে বাহুবল
থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
গ্রেফতার তোফায়েল মিয়ার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, বেশ কিছুদিন আগে
এই গণধর্ষণের নীলনকশা আঁকে তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে মামুন ওই স্কুলছাত্রীকে
প্রেমের ফাঁদে ফেলে।
এরপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রেমিক মামুন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী
প্রেমিকাকে বইমেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি হয় স্কুলছাত্রী প্রেমিকা।
পরে তারা একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিল তোফায়েল ও
শিপন। কিছুদূর যাওয়ার পর বইমেলায় না নিয়ে অন্যদিকে নেয়ার কারণ জানতে চায়
স্কুলছাত্রী। একপর্যায়ে চিৎকার শুরু করে সে। সঙ্গে সঙ্গে মামুন, তোফায়েল ও শিপন
স্কুলছাত্রীর মুখ চেপে ধরে। পরে বৃন্দাবন চা বাগান এলাকার পাশের নির্জন পাহাড়ে
নিয়ে পালাক্রমে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। গণধর্ষণ শেষে আহত অবস্থায় বাড়ির
পাশের রাস্তায় স্কুলছাত্রীকে ফেলে যায় তারা।
গণধর্ষণের ঘটনার তিনদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি
করে বাহুবল থানায় একটি মামলা করে নির্যাতিত স্কুলছাত্রী। মামলার প্রেক্ষিতে
আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নামে র্যাব।
জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে তোফায়েল আরও জানিয়েছে, এই কিশোরী ছাড়াও আরও
একাধিক তরুণীকেও প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো.
আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, চরম পেশাদার মানসিকতা সম্পন্ন এসব ধর্ষক আত্মগোপনের জন্য
গত ২০ দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
চোখে ধুলা দেয়ার জন্য মোবাইল ব্যবহার থেকেও বিরত থাকে তারা। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তি
ও সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষক তোফায়েল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত
অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন।
No comments:
Post a Comment