মোস্তাফিজুর রহমানের ওভারটাই কি পার্থক্য গড়ে দিলো? নিজের শেষ ওভারে এসে মোস্তাফিজ যদি ২৮ রান হজম না করতেন, তাহলে কি ফলটা ভিন্ন হতে পারতো? দিল্লি ক্যাপিটালসের ১৬ রানের হারে এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে।
আইপিএলে ভুলে যাওয়ার মতো এক রাত কেটেছে বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের। তার ‘বাজে’ বোলিংয়ের ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার ছয় থেকে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ফ্যাফ ডু প্লেসির দল। মোস্তাফিজদের অবস্থান আটে।
দিল্লির সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৯০ রানের। ডেভিড ওয়ার্নারের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ইনিংসের অর্ধেকটা পর্যন্ত ভালোভাবেই লড়াইয়ে ছিল তারা। ওয়ার্নার ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলে যখন ফিরছেন, ১১.২ ওভারে ২ উইকেটে ৯৪ রান দিল্লির।
কিন্তু পরের ব্যাটাররা আর সেভাবে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। শেষ ৪ ওভারে দরকার পড়ে ৫৬ রান। অধিনায়ক রিশাভ পান্ত মারকুটে ব্যাটিংয়ে আশা জাগালেও শেষ রক্ষা হয়নি দিল্লির।
১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ সিরাজকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলেও বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন পান্ত। কিন্তু এবার কভারে কোহলির দারুণ এক ক্যাচ হন তিনি। ১৭ বলে ৩৪ করে পান্ত ফেরার পরই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দিল্লি। শেষ পর্যন্ত থামে ৭ উইকেটে ১৭৩ রানে।
এর আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর দিনেশ কার্তিকের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম তিন ওভারে বেশ ভালো বোলিং করেছিলেন। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ব্যাটাররা তার ওই তিন ওভারে নিতে পারেন মোটে ২০ রান।
কিন্তু এই মোস্তাফিজই নিজের শেষ ওভার করতে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন। এক ওভারেই দেন ২৮ রান। কাটার মাস্টারকে লজ্জার এক ওভার উপহার দিয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর উইকেটরক্ষক ব্যাটার দিনেশ কার্তিক।
১৮তম ওভারে তার কোনো বলই সীমানাছাড়া করতে ছাড়েননি দিনেশ কার্তিক। প্রথম তিন বলে বাউন্ডারির পর চতুর্থ আর পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান কার্তিক। শেষ বলটিতে মারেন আরেকটি চার। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মোস্তাফিজ।
অথচ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো ছিল না ব্যাঙ্গালুরুর। ১৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার অনুজ রাওয়াত (০) আর ফ্যাফ ডু প্লেসিকে (৮) হারিয়ে বসে তারা।
এরপর ব্যর্থতার পরিচয় দেন দলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলিও (১৪ বলে ১২)। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় তুলেছিলেন। ৩৪ বলে ৫৫ রান করা এই ব্যাটার ইনিংসের ১২তম ওভারে সাজঘরে ফিরলে ৯২ রানে ৫ উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালুরু।
সেখানে দাঁড়িয়ে দিনেশ কার্তিকের তাণ্ডব। শাহবাজ আহমেদকে নিয়ে ৫২ বলে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩৪ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে। ২১ বলে হার না মানা ৩২ করেন শাহবাজ।
দিল্লি বোলারদের মধ্যে শুধু মোস্তাফিজ নন, মার খেয়েছেন কুলদ্বীপ-খলিলও। কুলদ্বীপ ৪ ওভারে দেন ৪৬ রান, খলিলের খরচ ৩৬। দুজনই অবশ্য একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
Sunday, April 17, 2022
মোস্তাফিজের লজ্জার বোলিংয়ের ম্যাচে হারলো দিল্লি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Top Ad
Author Details
Welcome, It's a site of SS Connections Site. Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.Thanks.
No comments:
Post a Comment