অবশেষে জাতিসংঘ মহাসচিব মিয়ানমারকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটেরেস শুক্রবার দেয়া এক বিবৃতিতে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ সহিংস পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দেশটির প্রতি সংযত হওয়ার এবং শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যথায় পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয়ের দিকে যাবে বলেও ঐ বিবৃতিতে জানানো হয়।
তিনি রাখাইন এলাকার জনগণের নিরাপত্তা এবং তাদের সাহায্য-সহযোগিতা, বিশেষ করে জাতিসংঘ এবং অন্যদের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ শনিবার বলেছে, স্যাটেলাইটে প্রাপ্ত নতুন চিত্রগুলোতে দেখা যাচ্ছে, রাখাইনের রাথেডাং এলাকার একটি গ্রামের সাত শতাধিক বাড়ি আগুনে জ্বলছে এবং গ্রামটি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মানবাধিকার লংঘনসহ সার্বিক নির্যাতনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘের স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেওয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
এদিকে, প্রতিদিনই বাংলাদেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বাড়ছে। সীমান্তে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা বলছেন, শুক্রবার দিবাগত রাত এবং শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। বিভিন্ন হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে
এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সীমাহীন অত্যাচার, নির্যাতনের পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যতটা সোচ্চার এবং সক্রিয় ভূমিকার প্রত্যাশা ছিল- বাস্তবে তেমনটা দেখা যাচ্ছে না বলেই মনে করেন বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা। এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্লেষক ড. আমেনা মোহসিনের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা থেকে আমীর খসরু'র আরো একটি রিপোর্ট। সূত্রঃ অনলাইন।
No comments:
Post a Comment